কলেজের প্রতিষ্ঠাতার বক্তব্য

image-not-found

দাউদকান্দির দক্ষিনাঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের দাবির প্রেক্ষিতে ১৯৯৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি একটি মহৎ উদ্দেশ্যে ক্যাডেট কলেজের আদলে জুরানপুর আদর্শ কলেজ প্রতিষ্ঠা করি। কলেজটি প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকেই এর সুনাম-সুখ্যাতি দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে শহরের কোলাহল থেকে দূরে অনেকটা A town in a village এর ছায়াঘেরা শান্তপরিবেশে দাউদকান্দি উপজেলার জুরানপুর গ্রামে এ কলেজটির অবস্থান। আমি বিশ্বাস করি, একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়মকানুন এবং তা সুচারু রূপে সম্পন্ন করার জন্য সুশিক্ষিত, সৎ ও নিষ্ঠাবান অধ্যাপকমন্ডলী থাকবে যারা একবিংশ শতব্দির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় একটি সুশৃঙ্খল, যুগপোযোগী কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী তৈরি করবে। জুরানপুর আদর্শ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ সে ধরনের একটি প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানটি সুনিয়ন্ত্রিত নিয়মাবলির মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটিতে পড়া-লেখার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিত্বের পরিপূর্ণ বিকাশের জন্য লাইব্রেরি, বিএনসিসি, সুপরিসর খেলার মাঠ, কৃত্রিম লেকসহ আনুষঙ্গিক সুবিধাদি রয়েছে। মহান আল্লাহ পাকের অশেষ মেহেরবানীতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে আমার অধ্যয়নের সুযোগ হয়েছিল। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন্ড লাভের পর থেকে অদ্যাবধি সাধারণ মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি। তাই আপনাদের দোয়ায় আমার তিন ছেলে ক্যাডেট কলেজে অধ্যয়ন শেষে আজ স্বীয় ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। এ কলেজটিকেও আমি নিজের সন্তানের মতোই দেখাশোনা করছি। আজ আমি খুব আত্মতৃপ্তি পাচ্ছি যে, এ কলেজ থেকে পাশ করা বহু শিক্ষার্থী বাংলাদেশের বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, পুলিশ ও আর্মি অফিসারসহ দেশে-বিদেশে বিভিন্ন স্তরে গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে অবদান রেখে চলছে নিরন্তর। সেই সব মেধাবী মুখের মিলন মেলায় আমি যারপরনাই আনন্দিত। পরিশেষে, পরম করুণাময় মহান আল্লাহর কাছে সকলের মঙ্গল কামনা করছি। মেজর জেনারেল (অব:) সুবিদ আলী ভূইয়া এম.পি প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জুরানপুর আদর্শ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ

হিতৈষী সদস্যার বক্তব্য

image-not-found

ঢাকার অদূরে চট্টগ্রাম বিভাগের প্রবেশ দ্বারে দাউদকান্দি উপজেলার অবস্থান। এ উপজেলার সবচেয়ে সুন্দর স্থান হচ্ছে জুরানপুর কমপ্লেক্স। নানা প্রাকৃতিক উপাদানে সমৃদ্ধ এ কমপ্লেক্সটি গ্রামরে ভিতর স্বপ্নের শহরের আদলে গঠিত। পর্যটকদের দৃষ্টি আকার্ষণে এ কমপ্লেক্সের জুড়ি নেই। পাখির কলকাকলি আর কিশোর কিশোরি ছাত্র-ছাত্রীদের কোলাহলে মুখরিত এক মনোরম পরিবেশ, যা সকল পরিব্রাজককে অতি সহজেই মুগ্ধ করে। এ কমপ্লেক্সের আরো একটি সুন্দর প্রতিষ্ঠান হচ্ছে জুরানপুর আদর্শ কলেজ। গ্রাম অঞ্চলের সুবিধা বঞ্চিত মানুষের মধ্যে উচ্চ শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে ১৯৯৩ সালে এ কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ইতোমধ্যে এ প্রতিষ্ঠানটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে রূপান্তরিত হয়েছে। ৪০০ ছাত্র-ছাত্রদের আবাসিক সুবিধা সংবলিত ক্যাডেট কলেজের আদলে প্রতিষ্ঠিত এ কলেজটি সম্পূর্ণ রাজনীতি ও ধুমপান মুক্ত। এখানকার আবাসিক হাউসগুলোতে তাদেরকে মাতৃ ও পিতৃ স্নেহে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা হয়। আমি ধন্যবাদ জানাই কলেজের পরিচালনা পর্ষদ, শিক্ষকমন্ডলী ও অভিভাবকবৃন্দকে, যাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় কলেজটি এ পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। সর্ব শক্তিমান আল্লাহ আমাদের সকলকেই কল্যাণময় জীবন দান করুন। আল্লাহ হাফেজ। মাহমুদা ভূইয়া হিতৈষী সদস্যা জুরানপুর আদর্শ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ

অধ্যক্ষের বক্তব্য

image-not-found

জুরানপুর আদর্শ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ একটি ঐতিহ্যবাহী ও স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ। সুদক্ষ নাগরিক সৃষ্টিতে সৃজনশীল চেতনা বিকাশে ছাত্র-ছাত্রীরা স্বীয় মেধাশক্তিকে কাজে লাগিযে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত। সৃষ্টির ঊষালগ্ন হতে শিক্ষার আলোই মানুষকে চলার পথ দেখিয়েছে। তাইতো জীবনের মানোন্নয়নে ও সভ্যতার বিকাশে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। আর শিক্ষা বলতে প্রথমেই যে কথাটি আসে তা হলো শিক্ষক। শিক্ষকের দক্ষতা, নিষ্ঠা আর প্রচেষ্টার উপরই নির্ভর করে শিক্ষার গুনগত উৎকর্ষতা। কোন ব্যক্তি বা মানুষকে দক্ষ ও যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে তার মেধা, মননশীলতা চিন্তার উৎকর্ষ সাধনে গভীর পর্যবেক্ষনে ধীশক্তি অর্জনে এবং শৃজনশীলতা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করে গতিশীল ও পরিবর্তনশীল যুগে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাওয়ার মন্ত্রে উজ্জীবিত করার মাধ্যমে জীবন ও সমাজের সর্বক্ষেত্রে শান্তি ও সাফল্যের বার্তা বয়ে আনার মহান লক্ষ্যই জুরানপুর আদর্শ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অঙ্গীকার। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি শিক্ষকগণ শুধু পাঠদানের জন্য নয় বরং আদর্শ মানুষ সৃষ্টির মোক্ষম হাতিয়ার। শুধু পরীক্ষায় ভালো ফল নয় বরং ছাত্র-ছাত্রীদের চারিত্রিক বিকাশ ঘটানোই প্রধান লক্ষ্য। শিক্ষকদের গভীর মমত্ববোধ ও মঙ্গল কামনাই ছাত্র-ছাত্রীদের কর্মজীবনের প্রধান চালিকা শক্তি। মহত্ব, কৃতিত্ব, পরিশ্রম, সাধুতা, একনিষ্ঠতা এবং আত্মবিশ্বাসই একজন মানুষকে বিখ্যাত করে তোলে। সাধুতা, পরিশ্রম, বুদ্ধিমত্তা, দূরদশির্তা এবং ধর্মবোধের সমন্বয়ে এক অসাধারণ ব্যক্তিত্ব এবং সমাজ সংস্কারকের মডেল দাউদকান্দি ও মেঘনা উপজেলার আলোকিত মানুষ এ প্রতিষ্ঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মেজর জেনারেল (অব:) সুবিদ আলী ভূইয়া এম.পি। পরিশেষে, প্রগতিশীল এ প্রতিষ্ঠানের সোনালী ভবিষ্যত বর্ণিল হোক, উদ্ভাসিত হোক নব চেতনায়, উন্মোচিত হোক আগামীর সম্ভাবনা। মো: শরিফুল ইসলাম অধ্যক্ষ জুরানপুর আদর্শ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ